আরেক দফা অস্থির হয়ে উঠেছে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। দেশের বৃহৎ এ পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে পণ্যের দাম বাড়ার পর পাইকারি ক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেছে অনেকাংশ। তাই ক্রেতা সংকটে ধুঁকছে বৃহৎ এ পাইকারি বাজার।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে মণপ্রতি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। পণ্যের দাম বৃদ্ধির পর থেকে হঠাৎ কমে গেছে ক্রেতার আনাগোনা। তাই দেশের বৃহৎ এ বাজারে ক্রেতা সংকট চলছে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘সরকারের আমদানি পণ্যের এলসি নীতি পরিবর্তনের সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী। তারা কৌশলে পণ্য বিক্রি কমিয়ে মজুদ করে রাখছে। তাই প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।’ জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্য বুকিং হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, আমদানি পণ্যের এলসি নীতি পরিবর্তন, কিছু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুদের কারণে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক কম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। বর্তমানে চিনি মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। গম বিক্রি হচ্ছে মণ ১ হাজার ৬৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১ হাজার ৫৫০ টাকা। চনাবুট ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে, আগে ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা। পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬৬০ টাকা, আগে ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা। মটর ডাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আগে ছিল ৬৩ টাকা। পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকা। আগে ছিল ৩৫ টাকা। মসুর ডাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৩ টাকা, আগে যা ছিল ৮৭ টাকা। মটর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, আগে ছিল ৬৩ টাকা। জিরা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫১০ টাকা। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৪০ টাকা, আগে ছিল ১ হাজার ১০০ টাকা। ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, আগে ছিল ৯৫ টাকা। হলুদ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২৫ টাকা, আগে ছিল ১২০ টাকা। মরিচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা, আগে ছিল ২৮০ টাকা।
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন